
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি: মোঃ আব্দুল্লাহ আল জাবের।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাবুরহাট বাজারে চাঁদা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাহাফুজ ভূঁইয়া (৩৪) নামের একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় লোকজন জানান, শেখেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মো. জহিরুল ইসলাম শেখ ও ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান ভূঁইয়ার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন যুবদল নেতা বদিউজ্জামান (৪০), ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম (২৪), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. সবুর সরদার (৪৫), মো. মাহবুব ভূঁইয়া (৬৫), স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. আল মামুন সরদার আজমীর (৪২), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহবিজ্ঞান প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. তায়জুল ইসলাম (৩৩), স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী এমাম ভূঁইয়া (২৫), যুবদলের কর্মী রুহুল আমীন ভূঁইয়া (৩৫) এবং ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মো. জহিরুল ইসলাম শেখ ও পলাশ শেখ (২৮)।
হামলায় আহত উপজেলা যুবদলের সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান দৈনিক প্রভাত টাইমসকে বলেন, ‘উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজমীর হোসেনকে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম, তাঁর ভাই যুবলীগ কর্মী জাহিদসহ চার-পাঁচজন একটি দোকানের সামনে আটক করেন। এর আগে প্রায় দুই মাস ধরে তাঁরা আজমীরের কাছে চাঁদা চান। এ ঘটনা শুনে সেখানে গেলে বিএনপি নেতা জহিরের নেতৃত্বে তাঁর ভাই ও তাঁর গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে আমার সঙ্গে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে এ খবর শুনে আমার আত্মীয়স্বজন সেখানে গেলে জহিরের লোকজন তাঁদের ওপরও হামলা করেন।’
বিএনপি নেতা মো. জহিরুল ইসলাম শেখ দৈনিক প্রভাত টাইমসকে বলেন, যুবদল নেতা বদিউজ্জামানের চাচা মাহাবুব ভূঁইয়া তাঁকে গালাগালি করেন এবং তাঁর লোকজনের ওপরে হামলা করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষে বাজারে কে কাকে মেরেছেন, তা তিনি জানেন না।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অশেষ প্রতিম রায় দৈনিক প্রভাত টাইমসকে বলেন, গুরুতর আহত ব্যক্তিদের আনার পর তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মাহাফুজ ভূঁইয়া নামের একজনকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। আহত বাকি ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ হিলাল উদ্দিন দৈনিক প্রভাত টাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
Post Views: 51